খুলনা থেকে ১৮টি রুটে দ্বিতীয় দিনের মতো বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। শনিবার সকাল থেকে অসংখ্যযাত্রীকে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে এসে গন্তেব্যে পৌঁছানোর বাস না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা যায়। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করছেন খুলনায় বিভাগীয় সমাবেশে নেতাকর্মীদের বাধা দিতেই ধর্মঘট ডেকেছে বাস মালিকরা।
এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় প্রায় ৬০-৭০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটেও বিএনপির অনেক কর্মী খুলনায় সমবেশ স্থলে পৌঁছেছেন।
সাতক্ষীরার তালা থেকে বিএনপি কর্মী শেখ মো. জলিল প্রায় ১০ ঘণ্টা পায়ে হেঁটে খুলনায় পৌঁছান। তিনি বলেন, পথে পথে নানা ভোগান্তি সহ্য করে বিএনপি কর্মীরা সমাবেশ সফল করতে এসেছেন। তিনি বলেন, বিগত দিনে হামলা-মামলা দিয়ে তাদেরকে নাজেহাল করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতিতে জীবনযাত্রায় নাভিশ্বাস উঠেছে। একারণে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে দাবি জানিয়ে তারা সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন।
একইভাবে নড়াইল থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে খুলনায় সমাবেশ স্থলে এসেছেন বিএনপি কর্মী মোহাম্মদ সেলিম। খুলনায় আসতে তার সময় লেগেছে ৭ ঘণ্টা। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নড়াইল থেকে কয়েকশ নেতাকর্মী মোটরসাইকেল, রিক্সাভ্যান ও ট্রলারে খুলনা এসে পৌঁছেছেন। তাদের সবার হাতে ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ ‘গুম খুন বন্ধ করো, চাল ডালের দাম কমাও’ ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করো’ এ রকম নানা ধরনের প্লাকার্ড রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন